কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে প্রতিবেশি দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এ হামলার জন্য ভারত সরাসরি দায়ী করেছে পাকিস্তানকে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের দেশে ফিরে যেতে বলেছে ভারত। পাকিস্তানও সে দেশে থাকা ভারতীয়দের অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে। বহিষ্কার করেছে ভারতীয় কূটনীতিকদের। যেকোনো সময় যুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।যদি যুদ্ধ বেধেই যায়, কার জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু, তা নিয়েও শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ। আলোচনা চলছে কার কত সামরিক ক্ষমতা, তা নিয়েও।ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া জানিয়েছে, ১২৭ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতের বর্তমান সামরিক বাজেট প্রায় ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ১৯ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানের সামরিক বাজেট ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার।পরমাণু বোমাডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার হিসাবে ভারতের হাতে রয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০টি পরমাণু অস্ত্র। আর পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০টি।সৈন্য সংখ্যাভারতের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ২১ লাখ ৪০ হাজার। রিজার্ভে রয়েছে ১১ লাখ ৫৫ হাজার সৈন্য। এছাড়াও, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মিলবে ৩১ কোটি সেনা।অপরদিকে, পাকিস্তানে সক্রিয় সৈন্য রয়েছে ৬ লাখ ৫৩ হাজার। রিজার্ভে রয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার সৈন্য। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশটিতে মিলবে ৪ কোটি সেনা।স্থলবাহিনীভারতের স্থলবাহিনীর হাতে রয়েছে ৪ হাজার ৬১৪টি ট্যাঙ্ক। সামরিকযান রয়েছে ৫ হাজার ৬৮১টি। রকেট আর্টিলারি রয়েছে ২৯২টি।পাকিস্তানের স্থলবাহিনীর রয়েছে ২ হাজার ৭৩৫টি ট্যাঙ্ক। সামরিকযান রয়েছে ৩ হাজার ৬৬টি। রকেট আর্টিলারি রয়েছে ১৩৪টি।বিমান বাহিনীভারতের যুদ্ধবিমান রয়েছে ২ হাজার ২১৬টি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ায় তৈরি মিগ-২১, মিগ-২৭, মিগ-২৯, সুখোই-৩০এমকেআই, ব্রিটেন-ফ্রান্সের তৈরি জাগুয়ার এবং ফ্রান্সের তৈরি মিরেজ ২০০০।পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান রয়েছে ১ হাজার ১৪৩টি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চীনের তৈরি এফ-৭পিজি এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ ফেলকন।নৌবাহিনীআমর্ডফোর্সেসের হিসাবে ভারতের নৌবাহিনীর রয়েছে ১৫টি সাবমেরিন, ১৫টি ফ্রিগেট, ১১টি ডেস্ট্রয়ার এবং বিমানবহনকারী জাহাজ ২টি।অন্যদিকে পাকিস্তানের রয়েছে ৫টি সাবমেরিন এবং ৯টি ফ্রিগেট।গত ২২ এপ্রিল বিকেলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ জন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার স্থানীয় শাখা দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।