রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহতের ঘটনার পর থেকে নতুন করে আলোচনায় এসেছে উদ্যানটিকে ঘিরে চলা নানারকম অপকর্মের কথা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা বলছেন, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন সংগঠন এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের প্রভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিনিয়ত উদ্যানটিতে চলছে মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানারকম অনৈতিক কার্যকলাপ।বিষয়টিকে সামনে এনে বুধবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ক্যাম্পাসের অধীনে নয়। শাহবাগ থানার অধীনে। এটাকে মাদকের আখড়া বানিয়ে রেখেছে একটা ‘প্রগতিশীল’ গোষ্ঠী।তিনি বলেন, ‘যখন প্রধান দাবি হওয়ার কথা সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের, উদ্যানের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় যখন ঘেরাও হওয়ার কথা শাহবাগ থানা, তখন এসব বাদ দিয়ে শুধু ভিসির পদত্যাগের রাজনীতি দেশের মানুষ বোঝে। যেই মায়ের সন্তান গেছে, সে বুঝতেছে যন্ত্রণা! আমরা অতিদ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। আল্লাহর ওয়াস্তে লাশের রাজনীতি কইরেন না’।উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মারা যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় সাম্যের সঙ্গে থাকা একই ইনস্টিটিউট ও শিক্ষাবর্ষের বায়েজিদ ও রাফিও ছুরিকাঘাতে আহত হন।