রাজধানীর মিরপুরে ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগ নেত্রী স্বপ্না আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মাটিকাটা এলাকার ৫৯৭ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত স্বপ্না আক্তার ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় জুলাই আন্দোলনে ছাত্র হত্যার মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিরপুরের মাটিকাটা এলাকায় ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে বহুল পরিচিত স্বপা। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নারী ও পুরুষদের নিয়ে আলাদা দুটি অস্ত্রাধারী ক্যাডার বাহিনী রয়েছে তার। এই দুই বাহিনীর মাধ্যমে সে জমি দখল, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতো। এ ছাড়া দলীয় প্রভাব খাটিয়ে শিল্পপতিদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় আগের সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের এক এসআই বলেন, এই স্বপ্না কুমিল্লার দেবিদ্বারের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। মাটিকাটা এলাকায় ফখরুলের সম্পদ রক্ষার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। ফখরুলের মালিকানাধীন জায়গায় একটি হোটেলও গড়ে তুলেছেন স্বপ্না।
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছরে ফখরুলের মাধ্যমে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ম্যানেজ করে দলের পদ বাগিয়ে নেন তিনি। গড়ে তোলেন নিজের সম্রাজ্য এবং মালিক হন বিপুল সম্পদের। এভাবেই এলাকার লেডি ডনে পরিণত হন স্বপ্না।
স্বপ্নার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানা, পল্লবী থানা, উত্তরা পশ্চিম থানা, ক্যান্টনমেন্ট থানা, পল্টন থানাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক, জমি দখল ও চাঁদাবাজি মামলাসহ একাধিক মামলার পাশাপাশি অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ বলেন, জুলাই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি স্বপ্না আক্তারকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করে গুলশান থানায় হস্তান্তর করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার স্বপ্না আক্তারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।