এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা জুলিয়াস সিজার তালুকদার। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।রিটে, প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালে না করা পর্যন্ত ডাকসু হল সংসদ নির্বাচনও স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।রিট আবেদনে, জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ও ব্যালট নম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেয়া এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত কেনো আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের হাউজ টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জুলিয়াস সিজার তালুকদারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ দেন নির্বাচন কমিশনে। পরে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হয়। কিন্তু নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল তার প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জুলিয়াস সিজারের প্রার্থীতা ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয়।তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে জুলিয়াস সিজার তালুকদারকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৭ আগস্ট চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। এতেও কাজ না হলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার।উল্লেখ্য, ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী ছিলেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার। চূড়ান্ত তালিকায় ভিপি প্রার্থী হিসেবে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ছিল। তার ব্যালট নম্বর ছিল ২৬।